ফের রেল লাইনের কাজ করতে গিয়ে ধসে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। এবারে বাংলা-সিকিম সীমান্তের আগে মামখোলায়। সেবক ও রংপো রেল প্রকল্পের ১০ নং টানেলে রাতে কাজে ছিলেন ৮জন শ্রমিক। অবিরাম বৃষ্টির জেরে আচমকাই জলস্ফিতি বেড়ে যায় মামখোলা পাহাড়ি নদীতে। ভেসে যায় ৮ জন শ্রমিক। তখন রাত প্রায় ২টো। ভোরে স্থানীয়রা উদ্ধারকার্যে হাত লাগায়। উদ্ধার করা হয় তিন শ্রমিককে। তাদের মধ্যে একজনকে নিয়ে আসা হয় কালিম্পং জেলা হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।
জানা গিয়েছে মৃত শ্রমিকের নাম ধন সিং ভাণ্ডারি। বাড়ি নেপালে। উদ্ধার হওয়া অন্য দুই শ্রমিককে ভর্তি করা হয় সিকিমের সিংতাম জেলা হাসপাতালে। এখনও ৫ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। টানা বৃষ্টি এবং পাথর ভেঙে পড়ায় বিপত্তি বাড়ে। কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার হরি কৃষ্ণ পাঁই জানান, উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয় র্যাফটিং টিম নামানো হয়েছে। আসছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং। তিনি রেল আধিকারিক এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানোর আর্জি জানান। প্রসঙ্গত গত ১৭ জুন এই রেল লাইনেরই ৯ নং টানেলে ভারী বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। মাঝে ২ দিন কাজ বন্ধ থাকবার পর ফের টানেলের কাজ শুরু হয়। বারবার করে ধস নামার ফলে এলাকাজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
অন্যদিকে টানা বৃষ্টির জেরে ধসে জেরবার বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন! ১০ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ! গতকাল রাতে ধস নামে ২৯ মাইলে। আজ সকাল থেকে একাধিক জায়গায় ধস নামে। ছোট, বড় মিলিয়ে জাতীয় সড়কের ৫ জায়গায় ধস! মেল্লি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ২ জায়গায়, রংপো সীমান্তের ৫০ মিটার আগেও ধস! ধস ভালুখোলাতেও। সকাল থেকে ধস সংস্কারে নেমেছে পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা। পুলিশও সহযোগিতা করছে। বহু জায়গায় ধসের জেরে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। জাতীয় সড়কের দু'ধারেই গাড়ির লম্বা লাইন। পূর্ত দপ্তরের এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়র সুবোধ ছেত্রী জানান, বহু জায়গায় ধস রয়েছে। কাজ চলছে যাতে জাতীয় সড়ক চালু করা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ