ভিন রাজ্যে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কিশোরীকে বিক্রির অভিযোগ উঠলো জলপাইগুড়িতে(Jalpaiguri)। আর সেই অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ডুয়ার্সের গয়েরকাটার এলাকায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মহিলাকে। ধৃত মহিলার নাম প্রমীলা রায় তিনি গয়েরকাটার একটি আই সি ডি এস সেন্টারের কর্মী বলেই খবর।
অভিযোগ, প্রমীলা রায় ওই কিশোরীকে বিহারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে ৫০,০০০/- টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়ে চলে আসেন।এরপর থেকেই প্রভাবশালী সেই ব্যক্তি তাকে নৃত্যের কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি মারধর এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করত।দীর্ঘদিন থেকে কোনরকম খবর না মেলায় অবশেষে সেই কিশোরীর সন্ধানে নামে তার পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।শেষপর্যন্ত সন্ধান পেয়ে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার পরিবারের লোকজন।এরপরই পরিস্থিতির বেগতিক দেখে চাপের মুখে পড়ে সেই কিশোরীকে অবশেষে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় ওই ব্যক্তি।
এদিন দুপুরে ঘটনার জানাজানি হতেই এলাকার লোকজন অভিযুক্ত সেই মহিলার বাড়িতে বিক্ষোভ দেখতে আসলে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।পরবর্তীতে খবর দেওয়া হয় বানারহাট থানা ও বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ি পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ ও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল চক্রবর্তী। অভিযুক্ত সেই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। পাশাপাশি সেই নাবালিকাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
কিশোরী ও তার পরিবারের অভিযোগ, প্রমীলা রায় জুন মাসে কিশোরীকে তার মাসীর বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অন্য জায়গায় নিয়ে নাচের কাজের জন্যে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে আসে। কিশোরী জানান,আমি নাচ করবো না বললে মালিক আমাকে মারধর করে বলে আমাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে প্রমীলা। এরপর আমার মাসী সেখান থেকে উদ্ধার করে মাসীর বাড়িতে নিয়ে গেলে জামাইবাবু আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। যদিও অভিযুক্ত প্রমীলা রায় বলেন, তারই তৎপরতায় সেই নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ এবং তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল চক্রবর্তী জানান,আমি ঘটনাস্থলে শুনতে পাই এই মহিলা আমার পার্টের একজন নাবালিকাকে বিহারে বিক্রির জন্যে নিয়ে যায় এবং বিক্রিও নাকি করে দেয়।নাবালিকার পরিবারের লোকজন এবং আবার পার্টের একজন ছেলে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পুলিশ এসেছে ঘটনার তদন্তের জন্য মহিলাকে আটক করেছে। ঘটনার সত্যতা কি আছে পুলিশ তদন্তের পর বলতে পারবে। শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে অভিযুক্ত মহিলাকে।
0 মন্তব্যসমূহ